কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে থাকা ৪৮০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই শেষে ফিরে গেছে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ট্রলারে করে বাংলাদেশ ত্যাগ করে প্রতিনিধিদলটি।
এর আগে এই জেটি দিয়ে ১৫ মার্চ মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসে।
প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘এক সপ্তাহে ৪৮০ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎ শেষে তারা মিয়ানমারে ফিরে গেছে। যে কাজের জন্য তারা এসেছিল সেটি সম্পন্ন করেছে। প্রতিনিধিদলটি তাদের কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানাবে।’
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, সবশেষ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) টেকনাফের জাদিমুড়া ও লেদা ক্যাম্পের ১৬ পরিবারের ৪০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এর আগে সোমবার ২১ পরিবারের ৮৬, গত রোববার ২৬টি পরিবারের ৭০ জন, গত শনিবার ২৩টি পরিবারের ৬০ জন, গত শুক্রবার ১৬টি পরিবারের ৭০ জন, গত বৃহস্পতিবার ২৩টি পরিবারের ৭০ জন এবং গত বুধবার ২৩ পরিবারের ৯০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং তথ্য যাচাই করা হয়। সব মিলিয়ে গত সাত দিনে তথ্য যাচাই হয়েছে ১৪৮টি পরিবারের ৪৮০ রোহিঙ্গার।
টেকনাফ শালবাগান ২৬ নম্বর ক্যাম্পের সাব মাঝি ছৈয়দ হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রায় একই রকমের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সাক্ষাৎকার প্রার্থীর বাড়ি রাখাইনের কোন গ্রামে ছিল, সেখানকার মেম্বার-চেয়ারম্যান কে ছিলেন, সমাজের সরদার কে ছিলেন, সেখানে থাকতে কতজন সন্তান ছিল, বাংলাদেশে আসার পর কতজন ছেলে-মেয়ে জন্ম নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আর এখানে (বাংলাদেশে) থাকতে চায় না। তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু এমনভাবে যেতে চায়, যাতে আর ফিরতে না হয়।’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের দাবি, প্রত্যাবাসনের জন্য কয়েক দফায় বাংলাদেশ মিয়ানমারকে সাড়ে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে বেছে নেয়া হয়েছে মাত্র ৬০ হাজারের মতো
পাঠকের মতামত